Category Archives: স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি ডা. আবুল কালাম আজাদ হোম কোয়ারেন্টাইনে

ক্রাইমনিউজ৫২ :
হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা ইত্তেফাককে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ডা. আবুল কালাম আজাদ হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তার হালকা সর্দি-কাশি রয়েছে।

এদিকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় যে, ডিজি আবুল কালাম আজাদের পরিবারের এক সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। করোনা উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি, এটি সঠিক নয় বলে জানান ঐ কর্মকর্তা।

ডা. আবুল কালামের অনুপস্থিতিতে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি করোনা নিয়ে অনলাইনে নিয়মিত বুলেটিনে আপডেট তথ্য দিচ্ছেন।

করোনার ওষুধ ‘রেমডিসিভির’ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো!

ক্রাইমনিউজ৫২:
করোনা ভাইরাস চিকিৎসার জন্য বহুল আলোচিত ওষুধ ‘রেমডিসিভির’ উৎপাদন করবে বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এ মাসেই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধটি উৎপাদন করবে বলে খবর বেরিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।খবরে বলা হয়, এখন পর্যন্ত কভিড-১৯ রোগের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছে রেমডিসিভির। ওষুধটি সেবনে রোগীদের পরিস্থিতির উন্নতিও হয়ে অনেক। তবে ওষুধটি প্রয়োগে পুরোপুরি সফলতা না এলেও করোনার সংকটের সময় রেমডিসিভির ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে শুরু হয়েছে রেমডিসিভির ব্যবহার। মূল উৎপাদনকারী গিলিয়াড তাদের ১৫ লাখ ডোজের প্রথম ব্যাচ যুক্তরাষ্ট্রের রোগীদের জন্য দান করবে।

বক্সিমকো’র চিফ অপারেটিং অফিসার রব্বুর রেজা জানিয়েছেন, বেক্সিমকো মে মাসের মাঝামাঝি এই ওষুধ বাজারজাতকরণের অনুমতি পাবে বলে আশা করছে। এরপর থেকে সরকারের মাধ্যমে বিতরণের জন্য এই ওষুধ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করবে প্রতিষ্ঠানটি। ওষুধটি মানুষের শিরায় প্রয়োগ করতে হয়। প্রতি ডোজ ওষুধের দাম পড়বে ৫-৬ হাজার টাকা। আর গুরুতর অসুস্থ রোগীদের মোট ৫ থেকে ১১ ডোজ ওষুধ প্রয়োগ প্রয়োজন হতে পারে। তবে রোগীর জন্য কতটুকু ওষুধ প্রয়োজন, তা গবেষণা শেষে জানা যাবে।

সরকার রেমডিসিভির বানাতে ভর্তূকি দেবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করে রব্বুর রেজা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার যতটুকু চায় তার ওপর নির্ভর করে আমরা ওষুধ উৎপাদন করবো।’

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, বেক্সিমকো ডোজ প্রতি ওষুধের যে দাম নির্ধারণ করেছে তাতে একজন রোগীর সুস্থ হতে ২৫ থেকে ৬৫ হাজার কিংবা তার চেয়ে বেশি অর্থ লেগে যেতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ওষুধের দাম নিয়ে কোন ঘোষণা দেয়নি।

তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ সহ জাতিসংঘ স্বীকৃত স্বল্পোন্নত দেশগুলো এসব প্যাটেন্ট বা সত্ত্ব অগ্রাহ্য করতে পারবে। ফলে এসব দেশ সহনীয় মূল্যে ওষুধ উৎপাদন করতে পারে।

রেমডিসিভির প্রথমে ইবোলা ভাইরাসের চিকিৎসায় প্রস্তুত করা হয়েছিল। তবে তখন খুব একটা কাজ করেনি এই ওষুধ। তবে এই ওষুধ নতুন এই করোনাভাইরাস সহ কিছু ভাইরাসের পুনঃউৎপাদনের প্রক্রিয়াকে অকার্যকর করে দেয়। ফলে রোগীর ইমিউন সিস্টেমকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখতে ব্যর্থ হয় ভাইরাস।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটস অব হেলথ যেই পরীক্ষা চালিয়েছে, তাতে দেখা যায় সাধারণ রোগীদের তুলনায় এই ওষুধ সেবনকারী রোগীদের হাসপাতালে থাকার হার ৩১ শতাংশ কমে যায়। অর্থাৎ রোগীরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন। তবে এই ওষুধ সেবনে মৃত্যুর হার খুব একটা কমেনি।

এর আগে বেক্সিমকো কভিড-১৯ রোগের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিশীল আরেক অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ফাভিপিরাভির ও ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনও উৎপাদন করছে। ভারতে স্থানীয় ওষুধ নির্মাতা সিপলা লিমিটেড জানায়, তারাও রেমডিসিভির, ফাভিপিরাভির ও বোলাক্সাভির নামে ৩টি অ্যান্টিভাইরাল উৎপাদনে কাজ করছে। তবে কবে এই ওষুধ বাজারে আসবে, বা এর দাম কত হবে, তা জানাতে রাজি হয়নি তারা। রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস।

রামেক থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক

 রাজশাহী সংবাদদাতা,ক্রাইমনিউজ ৫২ //রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম সরফরাজ নাজ শান্ত (৪০)। বুধবার দুপুর ১টার দিকে তাকে আটক করা হয়। চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সরফরাজ হাসপাতালের রোগীর স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টা করছিল বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। সরফরাজ নগরীর হেতেম খাঁ এলাকার জনৈক দিলদার হোসেনের ছেলে।  নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, সরফরাজ রামেক হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার নাম করে স্বজনদের সাথে প্রতারণার চেষ্টা করছিল। বিষয়টি টের পেয়ে ওই ওয়ার্ডের নার্সরা হাসপাতাল পুলিশ বক্সে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে সরফরাজকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

চোখের নিচের কালো দাগ কমানোর উপায়

ডা. সঞ্চিতা বর্মন , ক্রাইমনিউজ ৫২ // মানুষের মুখমণ্ডলে সবচেয়ে সুন্দর ও স্পর্শকাতর অঙ্গ হলো এক জোড়া চোখ। কিন্তু যদি সেই সুন্দর দুটি চোখের নিচে কালো দাগ বা আন্ডার আই ডার্ক সার্কেল দেখা দেয় তা হলে পুরো সৌন্দর্যেই ভাটা পড়ে। অনেক কারণেই চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে পারে। তার মধ্যে রাতে জেগে থাকা বা ঘুম কম হওয়া, কাজের বাড়তি চাপ, খাবারে অনীহা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, বার্ধক্যজনিত কারণ, রক্ত শূন্যতা, বিষণ্ণতা উল্লেখযোগ্এ ছাড়াও কিছু শারীরিক সমস্যা যেমন-এলার্জি, শ্বাস কষ্ট, যকৃতের সমস্যা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারণেও চোখের নিচে কালো দাগ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ছোট বেলা থেকে কোনো কারণ ছাড়াই চোখের নিচে কালো দাগ দেখা যায়।চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে ওষুধের চেয়ে যত্ন ও কিছু নিয়ম কানুন কার্যকরী। প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। ধূমপান থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। রোদে বাইরে বের হলে রোদ চশমা বা সান ব্লক ব্যবহার করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। কারো কারো অনেক দিন চশমা ব্যবহারের জন্য চোখের নিচে কালো দাগ ও ফোলা ভাব দেখা যায়। সেই ক্ষেত্রে প্রতিদিন কাজের ফাঁকে ১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে চোখকে বিশ্রাম দিতে হবে এবং রাতে ঘুমানোর সময় উঁচু বালিশ ব্যবহার করতে হবে।

মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহারের সময় যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এখন বাজারে অনেক ধরনের আন্ডার আই ডার্ক সার্কেল ক্রিম পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহারে কিছুটা ডার্ক সার্কেল হালকা হয়। এ ছাড়া ডায়মন্ড পিলিংয়ের মাধ্যমেও ডার্ক সার্কেল কমানো যায়। তবে চোখের নিচে কালো দাগের সমস্যা অনেক দিন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ