Daily Archives: July 2, 2020

কবি ও শিশু সাহিত্যিক, সংগঠক আলমগীর খোরশেদ মনে প্রাণে সাহিত্যকে ধারণ করে আছেন

 

রাকিব আজিজ,  ক্রাইমনিউজ৫২ :

কবি ও শিশু সাহিত্যিক আলমগীর খোরশেদ কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার নারান্দী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । বাবা মৃত খোরশেদ উদ্দিন আহমেদ, মাতা ফাতেমা খাতুন। বাবা ছিলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, নারান্দি ইউনিয়ন পরিষদের তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান । ছোটবেলা থেকেই কবি ও শিশু সাহিত্যিক আলমগীর খোরশেদ লেখালেখি শুরু । ১ ৯৮৭ সালে ময়মনসিংহের দৈনিক জাহান পত্রিকায় কবিতা ও পরে সিলেটের দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকার মধ্য দিয়ে কবি আলমগীর পাঠক সমাজে সমাদৃত হন । বাবার মৃত্যুতে লিখেছেন কাব্যগ্রন্থ পাথর সময়। তারপর লিখেছেন গল্পগ্রন্থ শান্তা নামের মেয়েটি, কাব্যগ্রন্থ চন্দ্রমুখি,গল্পগ্রন্থ হৃদয়ের রক্তক্ষরণ । উপন্যাস দূরের নীল প্রজাপতি, প্রিয়দর্শিনী, জ্যোৎ¯œালোকে অমানিশা, কাব্যগ্রন্থ মুজিব মানে বাংলাদেশ।
শিশুদের নিয়ে আলমগীর খোরশেদের লেখনি থেমে থাকেনি । তার  শিশুদের নিয়ে লেখা  ছড়া, বিভিন্ন গল্প বিভিন্ন পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হয়ে আসছে। তার লেখা শিশুতোষ গল্পের বই এলিয়েনের দেশে, শালিক ও তার ছানারা, শ্যাওড়া গাছের ভ‚ত, ও খোকার শততম জন্মদিন।
খোকার শততম জন্মদিন ব্্ইয়ের ভ‚মিকায় স্বণামধন্য বিশিষ্ট কবি অসীম সাহা লিখেছেন –
খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, অবশেষে জাতির পিতা। পৃথিবীর ইতিহাসে এমনটি আর কখনো ঘটেনি। এই হয়ে ওঠার পেছনে দীর্ঘদিনের সংগ্রাম, আন্দোলন এবং রাজনীতির অকুতোভয় সৈনিক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামমুখর জীবনের আপোষহীন অবস্থান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই জীবন পৃথিবীর যে কোনো নেতার জন্য একটি অনিবার্য দৃষ্টান্ত। পাকিস্তানি সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই- সংগ্রাম করে একটি জাতিকে এক মোহনায় মিলিত করার একক ভূমিকা তাঁরই। জীবনের চৌদ্দটি বছর কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্টে থেকেও যে নেতা কখনো মাথা নত করেননি, শত অত্যাচারের মুখেও দুঃসাহসী ভূমিকায় অবর্তীণ হয়ে বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী হয়ে উঠেছেন, এটা শুধু বিস্ময়কর নয়, প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার। যে জাতির কখনো স্বাধীন রাষ্ট্র ছিলোনা, তাদের একটি জাতিরাষ্ট্র উপহার দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইতিহাসের পাতায় নিজের নামটি স্বর্ণাক্ষরে লিখে রেখে গেছেন। সেই উদ্ধৃত তর্জনীর মানুষটিকে ছোটদের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য আলমগীর খোরশেদ সহজ ও সাবলীল ভাষায় তাঁর জীবনকে তুলে ধরেছেন। গল্পচ্ছলে ছোটদের উপযোগী করে জাতির পিতার জীবনের নানা দিক সফলভাবে তুলে ধরে লেখা ” খোকার শততম জন্মদিন ” গ্রন্থটি রচনা করে তিনি যেমন একদিকে জাতির পিতার শততম জন্মদিনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন, তেমনি পাঠকদের সামনে তুলে ধরেছেন একটি দুর্লভ উপহার। আমি আলমগীর খোরশেদ এর এই প্রয়াসকে স্বাগত জানাই এবং তার সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।
পেশায় একজন প্রকৌশলী হয়েও কবি ও শিশু সাহিত্যিক, সংগঠক আলমগীর খোরশেদ মনে প্রাণে ধারণ করে আছেন সাহিত্যকে। তিনি একজন অতি সাধারণ,সচেতন, প্রতিবাদীএবং প্রতিশ্রæতিশীল মানুষ।